লাল মরিচ ঝালে ভরপুর একটি খাবার। খাবারের স্বাদ বাড়াতে এর জুড়ি মেলা ভার। ঝাল মরিচে ক্যাপসেচিন, ভিটামিন-সি, এ, বি ৬ ও ই, পটাশিয়াম, ম্যাঙ্গানিজ, কপার, আয়রন, ফ্লাভোনেয়ড ও শক্তিশালী অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট প্রভৃতি নানা উপাদান রয়েছে, যা আমাদের স্বাস্থ্যের জন্য অনেক উপকারী।
গবেষকদের মতে, ডায়েটে যদি নিয়মিত লাল মরিচ থাকে, তাহলে তা রক্তে কোলেস্টেরলের মাত্রা নিয়ন্ত্রণে সাহায্য করে। ফলে হার্টের অসুখ বা স্ট্রোকে আক্রান্ত হওয়ার আশঙ্কা ১৩ শতাংশ পর্যন্ত কমে যায়।
রান্নায় যে সমস্ত মশলা আমরা ব্যবহার করি, তাতে এমন অনেক উপাদান থাকে, যা আমাদের শরীরে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ায়। ফলে হৃদরোগ, স্ট্রোকের মতো রোগ প্রতিরোধ করে। আমাদের সুস্থভাবে বেঁচে থাকতে সাহায্য করে।
জার্নাল অব বায়োকেমিস্ট্রিতে প্রকাশিত একটি রিপোর্ট অনুযায়ী, লাল মরিচে এমনই এক উপাদান রয়েছে যা শরীরে বিশেষ এক উৎসেচক উত্পাদনে বাধা দেয়। অধিকাংশ ম্যালিগন্যান্ট টিউমারে বিপুল পরিমাণে এই উৎসেচকের উপস্থিতি লক্ষ্য করা যায়।
মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের ইউনিভার্সিটি অব ভারমন্টের গবেষক মুস্তাফা শোপান জানান, লাল মরিচের মতো ঝাঁঝাঁলো খাবার ট্রান্সিয়েন্ট রিসেপটর পোটেনশিয়াল চ্যানেল শোষিত হয়। শরীরের কোষ ও আনবিক কার্যকারিতা নিয়ন্ত্রণ করে ওজন ধরে রাখা, রক্ত সঞ্চালনে সাহায্য করে ক্যাপসিকাম। অ্যান্টিমাইক্রোবিয়াল গুণ থাকার কারণে ইনফেকশন রুখতেও সাহায্য করে মরিচ।
লাল মরিচের কিছু স্বাস্থ্য গুনঃ
ব্যথা কমাতে সাহায়কঃ
লাল মরিচে ক্যাপসেচিন উপাদান থাকায় তা গাঁটব্যথা দূর করে এবং প্রদাহ কমায়। একইসঙ্গে মাইগ্রেনের ব্যথা দূর করতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখে এই লাল মরিচ।
ওজন কমায়ঃ
বিভিন্ন গবেষণায় দেখা গেছে, লাল মরিচ শরীরে মেদ জমতে দেয় না। তাই ওজন নিয়ন্ত্রণে রাখতে প্রতিদিনের খাবারের সঙ্গে লাল মরিচ খাওয়া ভালো।
সর্দি-কাশি প্রতিরোধঃ
সর্দি-কাশি প্রতিরোধেও লাল মরিচ বেশ উপকারী। এটি নাকের বন্ধ ভাব কমাতে সাহায্য করে।
ত্বকের জন্য উপকারীঃ
সোরিয়াসিস নামক এমন একটি রোগ ত্বকে দেখা যায়, এই রোগে ত্বকের মধ্যে মাছের আঁশের মতো হয়। মরিচে অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট ও প্রদাহরোধী উপাদান থাকায়, সোরিয়াসিসের লক্ষণগুলো কমাতে কাজ করে।
সোর্সঃ জিনিউজ ও ডেইলি মেইল।

0 comments:

Post a Comment

 
Top