মেয়েদের নিকট প্রিয় হতে হলে আপনাকে তাঁদের পছন্দসই কাজ করতে হবে।
মেয়েদের নিকট তাঁরাই প্রিয় পুরুষ হয় যারা তাঁদের পছন্দ ও ইচ্ছা অনুযায়ী নিজে গঠন করে এবং তাঁদের ইচ্ছা নিজেদের সাথে মিলিয়ে নেয়।
যারা তাঁদের অপছন্দসই কাজ করে তাঁদের নিকট সেসব পুরুষের প্রিয়তা কমই থাকে। তাহলে মনোবিজ্ঞানীদের ভাষ্য অনুযায়ী জেনে নিন কেমন পুরুষ তাঁদের কাছে প্রিয়।
১. সংবেদনশীলতা:
সবসময়ই মেয়েদের পছন্দের শীর্ষে থাকে সংবেদনশীল পুরুষেরা । বিশেষ করে বিপর্যয় বা দুঃখের সময়ে সংবেদনশীলতা প্রকাশ করে খুব সহজেই তাদের নিকটবর্তী হওয়া যায়।
যেমন: কান্নার সময় টিস্যু পেপার এগিয়ে দেয়া, একটুখানি পাশে বসা কিংবা মাথায় হাত বুলিয়ে দেয়া, হাতে আলতো চাপ দেয়া ইত্যাদি ছোট ছোট কাজও তাঁদের নিকট প্রিয় হবার অনেক চমকপ্রদ ফল বয়ে আনতে পারে।২. সৌজন্য বোধ:
পুরুষদের সৌজন্য বোধ আদিকাল থেকেই নারীকে আকৃষ্ট করে।
মনোবিজ্ঞানীদের মতে, মেয়েরা অনায়াসে এ কাজ গুলো করতে যথেষ্ট সক্ষম, যেমন: একটি চেয়ার টেনে বসা কিংবা দরজা ঠেলে ভেতরে ঢোকা ইত্যাদি কাজ তারা অনায়াসেই করতে পারে।তবে সৌজন্য প্রকাশ করে তার জন্য এ কাজগুলো কেউ করলে সেটি তার ভালোলাগার স্থানে যথেষ্ট নাড়া দেয়। এছাড়া সম্পর্কের শুরুতে কিংবা রোমান্সের বেলায় পুরুষের অগ্রবর্তী ভূমিকাকেই নারীরা প্রত্যাশা করে থাকে।
৩. পোশাক পরিচ্ছদ:
সময়ের সঙ্গে স্টাইল পাল্টায়। কিন্তু একজন পুরুষ তার ব্যক্তিত্বের সঙ্গে মানানসই পোশাক পরিচ্ছদে কতটুকু যত্নবান বা সচেতন তা নারীদের দৃষ্টি আকর্ষণ করে থাকে। এছাড়া একজন নারীর পছন্দ মোতাবেক পোশাক পরিচ্ছদ করেও তার দৃষ্টি আকর্ষণ করা সম্ভব।৪. লাল রঙ:
মেয়েদের অবচেতন মন পর্যালোচনা করে মনোবিজ্ঞানীরা বুঝেছেন যে, লাল রঙের প্রতি মেয়েদের একধরনের আগ্রহের অনুভূতি কাজ করে।এক গবেষণায় দেখা যায়, লাল পোশাকের পুরুষেরা মেয়েদের কাছে অধিক শক্তিশালী ও আকর্ষণীয় হিসেবে গণ্য হয়। যদিও সামগ্রিক লাল পোশাক কোনভাবেই মানানসই নয়। তবে সৃষ্টিশীলতার পরিচয় দিয়ে পোশাকের বিশেষ কোনো অংশে লাল রঙের ব্যবহার আপনাকে নারীর কাছে আকর্ষণীয়ভাবে উপস্থাপন করতে পারে। যেমন: সাদা শার্টের সঙ্গে লাল টাই।
৫. স্বদিচ্ছায় উপদেশ দিতে যাবেন না:
যখন কোন ঘটনা তাকে বিব্রত করে তখন আপনার কাছ থেকে উপদেশ শুনতে চায় না। সে চায় আপনি তার কথাগুলো মন দিয়ে শুনুন। যদিও ছেলেরা সমস্যা সমাধানের বিষয়েই বেশি আগ্রহী হয় এবং খুব দ্রুত এ বিষয়ে মনোনিবেশ করতে চায়। তবে এধরনের ক্ষেত্রে মেয়েরা চায় তার সঙ্গী তার কথাগুলো শোনার ব্যাপারেই মনযোগী হোক। তাই, তার কথা শোনার ব্যাপারেই বেশি মনযোগী হোন, এতে করে পারস্পরিক সম্পর্ক দৃঢ় হয়।৬. শুধু মাথা ঝাঁকালেই চলবে না:
তার কথাগুলো শোনা যতটা গুরুত্বপূর্ণ ঠিক ততটাই গুরুত্বপূর্ণ তার সঙ্গে অংশগ্রহণ করার। তাই শুধু মাথা ঝাঁকানোই যথেষ্ট নয়, কথা বলার ফাঁকে ফাঁকে সে যখন আপনাকে বলার সুযোগ দেবে, সে সময় তার সঙ্গে সহমর্মিতা প্রকাশ করুন। এ ধরনের মুহূর্তে উপদেশ দেয়ার ইচ্ছা সংবরণ করা বাঞ্ছনীয়।৭. একটুখানি কৌশলী:
নিজেদের একান্ত মুহূর্তগুলো কীভাবে কাটবে সে বিষয়ে মেয়েরা কথা বলতে চায়। কারণ তারা সঙ্গীকে সুখী করার ব্যাপারে আগ্রহী। আপনিও কৌশলে প্রশ্ন করে তার পছন্দগুলো জেনে নিন এবং তা প্রয়োগের চেষ্টা করুন। একটি সুন্দর যুগল দাম্পত্য জীবনের জন্য গুরুত্বপূর্ণ।৮. প্রশংসা করুন:
নারীরা তাঁদের সৌন্দর্যের প্রশংসা শুনতে পছন্দ করে। তাই সে যদি নতুন কোনো পোশাক পরে, চুল কাটে কিংবা কোনো ধরনের সাজসজ্জা করে তবে তাকে সুন্দর লাগছে এ কথাটি বারবার বলুন। সবচেয়ে ভালো হয় সে আপনাকে জিজ্ঞেস করার আগেই তার প্রশংসা করলে কারণ, এতে করে তার প্রতি আপনার আগ্রহের বহিঃপ্রকাশ ঘটে যা মেয়েদের অত্যন্ত পছন্দ।৯. সম্পর্কের অবস্থা পর্যালোচনা:
মেয়েদের অত্যন্ত পছন্দের বিষয় হচ্ছে নিজেদের সম্পর্কে আলোচনা করা । এটি হতে পারে পারিবারিক বিষয়, নিজেদের একান্ত মুহূর্ত, ভবিষ্যৎ পরিকল্পনা বিষয়ক আলোচনা কিংবা সম্পর্কের প্রাপ্তি অথবা চাহিদা সম্পর্কে আলোচনা।১০. মুখোমুখি বসুন:
মেয়েরা সাধারণত পাশাপাশি বসার চাইতে মুখোমুখি বসতে পচ্ছন্দ করে। মেয়েরা চায় তার সঙ্গী তার চোখের দিকে তাকিয়ে কথা বলুক।11. সম্পর্ক যত নতুন কিংবা পুরাতনই হোক না কেন, মেয়েরা সবসময়ই রোমান্টিকতা পছন্দ করে। ফুল, মোমবাতির আলোয় ডিনার, দুয়েক লাইন কবিতা ইত্যাদি নাটকীয় রোমান্টিকতা মেয়েরা সাধারণত খুব পছন্দ করে থাকে।
0 comments:
Post a Comment