ছোটকাল থেকে আমরা শুনে এসেছি, পানির অপর নাম জীবন। তাই আমাদের এটাও শিখানো হয় যে, যত বেশি পারা যায়, তত পানি পান করতে। পানি আমাদের শরীরে শক্তির যোগান দেয় এবং আমাদের শরীরের প্রতিটি কোষ উজ্জীবিত করে। হজম শক্তি বৃদ্ধির ক্ষেত্রে এটি সবচেয়ে বেশি কার্যকরী। কিন্তু পানি পান করার ক্ষেত্রেও মাত্রা আছে। মাত্রাতিরিক্ত পানি পান হিতে বিপরীত ও করতে পারে।
কিছু কিছু সময় পানি পান করা থেকে বিরত থাকা উচিৎ। সে সময় নিয়ে আজ আমাদের আলোচনা-
১. যখন বুঝতে পারবেন অনেক বেশি পানি পান করে ফেলেছেন, তখন আর পানি পান করবেন না। আমাদের শরীরে পানির সাথে লবণের একটি পরিমিত মাত্রা থাকে। অতিরিক্ত পানি পান করার ফলে শরীরে লবণের পরিমাণে ঘাটতি দেখা যায়। এতে আপনার শরীরে সোডিয়ামের অভাব দেখা দিতে পারে। এতে বমি বমি ভাব থেকে শুরু করে হৃদরোগের সমস্যা পর্যন্ত হতে পারে। এমনকি এতে মৃত্যুর ঝুঁকিও রয়েছে।
২. আপনার প্রস্রাব যদি পরিষ্কার থাকে, তাহলে বেশি পানি পান করার প্রয়োজন নেই। তবে প্রস্রাব পরিষ্কার কিনা, তা প্রস্রাবের রং দেখে বিবেচনা করবেন। যদি প্রস্রাবের রং হলুদ হয়ে যায়, তাহলে বুঝে নিবেন আপনার এখনি পানি পান করা প্রয়োজন। আর যদি প্রস্রাবের রং হালকা হলদে থাকে, মানে স্বাভাবিক থাকে তাহলে আপনার শরীরে পর্যাপ্ত পরিমাণে পানি রয়েছে।
৩. ব্যায়াম করার ফলে প্রচুর ঘাম ঝরে এবং শরীরের খনিজ পদার্থ বের হয়ে যায়। কিন্তু পানি পান করলে আপনার শরীরের প্রয়োজনীয় খনিজ পূর্ণ হবে না। তাই পানির সাথে ম্যাগনেসিয়াম ও ফাইবার জাতীয় কিছু খাবার গ্রহণ করুন।
৪. ওজন কমানোর আশায় অনেকে খাবার সময় পানি পান করা শুরু করে। কিন্তু খাবার গ্রহণের ১০ মিনিট আগে এক গ্লাস পানি পান করে নেয়া উচিৎ। তাহলে খাবার সময় পেট খানিকটা ভরা মনে হয় এবং কম খাবার গ্রহণ করা হয়। খাবার গ্রহণের সাথে সাথে পানি পান করা একটি অস্বাস্থ্যকর বিষয়।
৫. শুধু পানি পান করলেই আপনি শরীরের প্রয়োজনীয় ভিটামিন পাবেন না। সাথে কিছু ফ্লেভার মিশিয়ে নিন। বিভিন্ন রকম ফলের শরবত ঘরে বসে তৈরি করে পান করুন। এতে পানি পানেও আপনি মজা পাবেন এবং আপনার সুস্থতার পথও খুলবে। সূত্রঃ টাইম্স অফ ইন্ডিয়া।
0 comments:
Post a Comment