বছরের পর বছর ধরে বাড়ির বাইরে বৈঠকখানায় কিংবা অন্য কোথাও রাত যাপন করে এবং এ সুযোগে কখনও কখনও অন্য কোন নারীর সাথে অবৈধ সম্পর্ক স্থাপন করে বসে। ফলে স্ত্রী তার অধিকার থেকে বঞ্চিত হতে থাকে। অথচ স্ত্রীর সাথে রাতে শয্যা গ্রহণ করা শরয়ী দৃষ্টিকোণ থেকে তার একটি অন্যতম অধিকার।
কথায় কথায় স্ত্রীর ভুল-ভ্রান্তি ধরা এবং ভুলের শাস্তিস্বরূপ তার সাথে কথা-বার্তা বন্ধ করে দেয়া কিংবা শয্যা ত্যাগ করা কোন বুদ্ধিমত্তার কাজ নয়। ভুল যে পর্যায়ের, তার সংশোধনও সে পর্যায়েরই হতে হবে। স্ত্রীর সাথে কথা-বার্তা বলা, হাসি-আনন্দ করা, তাঁকে সদা প্রফুল্ল চিত্ত রাখাও স্বামীর একটি দায়িত্ব।
অনেক লোক এমন আছে, যারা নিজেদেরকে পীর-বুযুর্গ বা কোন পীর-বুযুর্গের মুরিদ বলে দাবী করে, নামায-রোজা, ইবাদত-বন্দেগী ও জিকির আজকারে সদা মশগুল থাকে এবং মনে করে, যেন জান্নাত খরিদ করে নিয়েছে। অথচ স্ত্রীর অধিকারের ব্যাপারে সম্পূর্ণ উদাসীন থাকে। স্মরণ রাখা উচিত, নিয়মতি নির্দিষ্ট কিছু সময়
স্ত্রীর সাথে কথা-বার্তা বলা, তার সুখ-দুঃখের কথা শুনা এবং তাঁকে আনন্দ দানে সচেষ্ট থাকা তার প্রাপ্য অধিকার। অধিকাংশ মানুষই এ অধিকার আদায়ে চরম উদাসীনতার পরিচয় দেয়। এটাকে নিজের দায়িত্বই মনে করে না। শুধু ভাত-কাপড় ও বাসস্থানের ব্যবস্থা করাকেই একমাত্র দায়িত্ব মনে করে।
স্ত্রীর মনোতুষ্টির জন্য প্রয়োজনের অতিরিক্ত কোন বস্তু খরিদ করলে তা অপচয় হবে না। কেননা স্ত্রীকে খুশী করা একটি সাওয়াবের কাজ। আর সাওয়াবের কাজে অর্থ ব্যয় অপচয় নয়। তবে এজন্য নিজের সাধ্যের বাইরে ঋণ করাও উচিত নয়। মাঝে মধ্যে স্ত্রীকে নিজ হাতে খাওয়ানোও একটি ভালো কাজ। এর দ্বারা পারস্পরিক মহব্বত ও ভালোবাসা বৃদ্ধি পাবে। আল্লাহ তা’আলার পক্ষ হতে এজন্য বিশেষ প্রতিদান রয়েছে।
সূত্র : কুরআন হাদীসের আলোকে পারিবারিক জীবন
0 comments:
Post a Comment