কোষ্ঠকাঠিন্য খুবই পরিচিত সমস্যা। বেশিরভাগ মানুষই এই সমস্যার সম্মুখিন হয়ে থাকে। সাধারণত খাবারে অনিয়ম,তেল মশলা জাতীয় খাবার বেশি গ্রহণ, অপর্যাপ্ত পানি পান, দুশ্চিন্তা, অতিরিক্ত ঔষধ সেবন ইত্যাদি কারণে এই সমস্যা দেখা দিতে পারে।
আর এই সমস্যা থেকে হতে উদ্ভব হয় ব্রণ, চুল পড়া, এসিডিটি, হজমের সমস্যা, মুখের দুর্গন্ধ, মাথা ব্যথা, মুখের ঘা সহ আরোও অনেক সমস্যা। কোষ্ঠকাঠিন্য দূর করার জন্য অনেকে ঔষধ খেয়ে থাকেন, কিন্তু তা সাময়িকভাবে সমস্যা সমাধান হয়। দীর্ঘস্থায়ী উপকার লাভ করা সম্ভব হয় না। ঘরোয়া কিছু উপায় আছে যা দ্বারা কোষ্ঠকাঠিন্য দূর করা সম্ভব।
আসুন জেনে নেয়া যাক উপায় গুলো কিঃ
পানি: কোষ্ঠকাঠিন্যের সমস্যা দূর করতে প্রচুর পরিমাণ পানি পানের অভ্যাস করা উচিত। ডিহাইড্রেশন কোষ্ঠকাঠিন্যের অন্যতম কারণ। কোষ্ঠকাঠিন্যের সমস্যাটি ঘন ঘন দেখা দিলে পানি পানের পরিমাণ বাড়িয়ে দিন। কমপক্ষে দিনে ১.৫ লিটার পানি পানের অভ্যাস করে তুলুন। এছাড়া কুসুম গরম পানি এবং লেবুর রস মিশিয়ে পানি পান করতে পারেন। এটি পেট নরম করে কোষ্ঠকাঠিন্যের সমস্যা দূর করে দেয়।
কলা: ফাইবার এবং পেকটিন সমৃদ্ধ ফল কলা কোষ্ঠকাঠিন্যের সমস্যা দূর করে। দিনে দুটি কলা খাওয়ানোর অভ্যাস করুন। কলার পেকটিন উপাদানটি পরিপাক ক্রিয়াকে সহজ করে খাবার হজম করতে সাহায্য করে।
আপেল: প্রতিদিন একটি আপেল খাদ্য তালিকায় রাখুন। আপেল উচ্চ পেকটিন সমৃদ্ধ খাবার, যা পেট নরম করে। একদিনে দুই থেকে চার আউন্স আপেলের জুস অথবা একটি আপেল খেতে পারেন। তবে বাজারের আর্টিফিসিয়াল আপেল জুসের পরিবর্তে ঘরের আপেলের জুস বেশি উপকারী।
মধু: কোষ্ঠকাঠিন্য প্রতিরোধে মধু অনেক বেশি উপকারী। দিনে তিনবার করে দুই চা চামচ করে মধু খান। আপনি চাইলে এক গ্লাস গরম পানির মধ্যে মধু ও লেবুর রস মিশিয়ে নিতে পারেন। প্রতিদিন সকালে খালি পেটে এটি পান করুন। কিছুদিনের মধ্যে আপনার কোষ্ঠকাঠিন্য সমস্যা দূর হয়ে যাবে। তবে হ্যাঁ ডায়াবেটিকস রোগীরা মধু খাওয়া থেকে বিরত থাকবেন।
সূত্র: উইকিহাউ।
0 comments:
Post a Comment