হৃদয় তোমাকে পেয়েছি, স্রোতস্বিনী! 
 তুমি থেকে থেকে উত্তাল হয়ে ছোটো, 
 কখনো জোয়ারে আকণ্ঠ বেয়ে ওঠো 
 তোমার সে-রূপ বেহুলার মতো চিনি। 

 তোমার উৎসে স্মৃতি করে যাওয়া আসা 
 মনে-মনে চলি চঞ্চল অভিযানে, 
 সাহচর্যেই চলি, নয় অভিমানে, 
 আমার কথায় তোমারই তো পাওয়া ভাষা। 

 রক্তের স্রোতে জানি তুমি খরতোয়া, 
 ঊর্মিল জলে পেতেছি আসনপিঁড়ি, 
 থৈথৈ করে আমার ঘাটের সিঁড়ি, 
 কখনো-বা পলিচড়া-ই তোমার দোয়া। 

 তোমারই তো গান মহাজনী মাল্লার, 
 কখনো পান্সী-মাঝি গায় ভাটিয়ালি, 
 কখনো মৌন ব্যস্তের পাল্লায়, 
 কখনো-বা শুধু তক্তাই ভাসে খালি। 

 কত ডিঙি ভাঙো, যাও কত বন্দর, 
 কত কী যে আনো, দেখো কত বিকিকিনি, 
 তোমার চলায় ভাসাও, স্রোতস্বিনী।

0 comments:

Post a Comment

 
Top